"কোটি কোটি টাকার আয়-সম্পত্তি মিলল না! প্রভাবশালী রাজ্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে হেফাজতে চায় ইডি"
চন্দ্রনাথ সিনহা: ইডির তৎপরতা ও বিপুল সম্পত্তি নিয়ে নতুন তথ্য
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চন্দ্রনাথ সিনহা, রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী, ED তদন্তের মুখে
Y বাংলা ব্যুরো: আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন বিপুল সম্পত্তি ও অসহযোগিতার অভিযোগে শনিবার রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে সাত দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে ইডি। আদালতের রায় অনুযায়ী তদন্তে সহযোগিতা না করার বিষয়টি নিয়ে বিচারকও সরাসরি প্রশ্ন করেছেন। ইডি জানতে চেয়েছে, মন্ত্রী যখন আয়কর রিটার্নের তথ্য চেয়েছিল, কেন তিনি তা জমা দেননি এবং তদন্তে অসহযোগিতার কারণ কী।
ইডির দাবিসমূহ ও তদন্তের বিস্তারিত
সূত্রের খবর, আদালতে ইডি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশ করেছে। অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন চন্দ্রনাথ। ২০১৬ সালের শেষের দিকে তিনি বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা গ্রহণ করেছেন। ২০২৪ সালে বোলপুরে মন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪১ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়। তবে, মাত্র ১৯ লক্ষের হিসেব দেখাতে পেরেছেন তিনি।
তদন্তকারীদের দাবি, ওই ১৯ লক্ষ টাকার উৎসও স্পষ্ট নয়। মন্ত্রী জানিয়েছেন যে অর্থ এসেছে কৃষি কাজ ও রিয়েল এস্টেট থেকে, কিন্তু কোনও নথি দেখাতে পারেননি। ইডির অভিযোগ, মন্ত্রীর স্ত্রী ও দুই ছেলের অ্যাকাউন্টেও বিপুল অঙ্কের টাকা জমা আছে।
চার্জশিট ও অতিরিক্ত তথ্য
চার্জশিটের ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পাতায় উল্লেখ আছে, মন্ত্রী আয়কর মেটাতে ৯০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়েছিলেন। তবে সেই অর্থ কোথা থেকে এল, তা স্পষ্ট নয়। আয়কর রিটার্ন ও প্রকৃত আয়ের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।
মন্ত্রীর নাম প্রথম উঠে আসে বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের জবানবন্দিতে। এরপর ইডি চন্দ্রনাথের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে বড়সড় লেনদেনের হদিস পায়। অভিযোগ, প্রায় ১৫৯ জন প্রার্থীর কাছ থেকে গড়ে ৮ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে, মোট অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১২.৭২ কোটি টাকা।
আদালত ও মন্ত্রীর পরবর্তী পদক্ষেপ
সূত্রের খবর, শুক্রবার বীরভূমের কিষাণ মাণ্ডিতে মন্ত্রীর সম্পত্তি ও আর্থিক উৎস নিয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। এখন দেখার, আদালত অন্তর্বর্তী জামিন বহাল রাখে নাকি মন্ত্রীকে ইডির হেফাজতে তুলে দেয়।
তদন্তে অসহযোগিতা ও সরকারের প্রতিক্রিয়া
ইডি অভিযোগ করছে, চন্দ্রনাথ সিনহা শুধু নিজেই নয়, তার পরিবারও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল সম্পদ জমা করেছেন। আয়কর রিটার্নের তথ্য জমা না দেওয়া, নগদ অর্থের উৎস প্রমাণ করতে না পারা, এবং চার্জশিটে উল্লেখিত অর্থের যথাযথ ব্যাখ্যা না দেওয়া এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ দিক।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রীর এই আচরণ নিয়ে রাজ্য সরকারেরও উদ্বেগ রয়েছে। প্রশাসনিক মহল মনে করছে, তদন্তে সহযোগিতা না করলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নাও হতে পারে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন