রাহুল গান্ধীর 'ভোটচুরি' অভিযোগ: অলন্দে ৬০১৮ ভোট মুছে ফেলার চেষ্টা, নির্বাচন কমিশন কী বলল?
রাহুল গান্ধীর 'ভোটচুরি' অভিযোগ: এক কেন্দ্রে ৬০১৮ নাম মুছে ফেলার চেষ্টা, নির্বাচন কমিশন কী বলল?

সংক্ষিপ্ত সারমর্ম: বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বললেন— কর্নাটকের অলন্দ (Aland) কেন্দ্রে প্রায় ৬০১৮ ভোটারকে কাঠামোবদ্ধভাবে তালিকা থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল; দাবি করেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যার, ফোন নম্বর এবং আইপি-অ্যাড্রেস ব্যবহার করে এই কাজ করা হয়েছে। রাহুলের অভিযোগ— এই তৎপরতা কোণঠাসা কংগ্রেস-সমর্থকদের, দলিত ও আদিবাসী ভোটারদের লক্ষ করে। তবে নির্বাচন কমিশন এই দাগগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে এসব 'ভুল ও ভিত্তিহীন' এবং সূচক হিসেবে নিশ্চিত করেছে যে অনলাইনে কোনো ভোটারকে সরানো যায় না। 0
রাহুল কী বললেন — প্রধান দাবি
রাহুল দাবি করেছেন—
- অলন্দ কেন্দ্রে প্রায় ৬০১৮টি ভোটার-সনাক্তকরণ মুছে ফেলার চেষ্টা ধরা পড়েছে; এটি কখনও ব্যক্তিগত অনুরোধের নয়, বরং একটি কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়েছে। 1
- যেসব বুথে কংগ্রেসের শক্ত ঘাটতি আছে সেগুলোতেই এই ধরনের অননুমোদিত মুছে ফেলার চেষ্টার নমুনা বেশি। 2
- কর্নাটক সিআইডি প্রয়োজনীয় ডাটা (সফটওয়্যার লোগ, ফোন নম্বর, আইপি ও OTP বিবরণ) চেয়েছিল — কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেই তথ্য দিতে নাকচ করেছে বলে অভিযোগ। 3
নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া
নির্বাচন কমিশন দ্রুতভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং বরাবরের কন্ঠেই বলেছে— রাহুলের অভিযোগগুলি 'ভুল এবং ভিত্তিহীন'। কমিশন টুইটে জানায়, অনলাইনে কোনো সাধারণ নাগরিক কোনো ভোটারের নাম সরাতে পারে না; নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা না বলে ভোটার বাতিল হয় না। তথাপিও কমিশন স্বীকার করেছে যে ২০২৩ সালে অলন্দ কেন্দ্রে কিছু ব্যর্থ মুছার চেষ্টা হয়েছিল এবং এ সম্পর্কে ECI নিজেদের পক্ষ থেকেই একটি এফআইআর দায়ের করেছিল। 5
কর্নাটক সিআইডি এবং তদন্তের দাবি
কর্নাটক সিআইডি ওই ঘটনায় আরও তথ্য চেয়েছিল— বিশেষত যেসব ফোন নম্বর, আইপি অ্যাড্রেস থেকে আবেদন এসেছে এবং ওই ওটিপি যাচাইয়ের বিবরণ। রাহুলের দাবি— সিআইডি ১৮ মাস ধরে কমিশনের কাছে এ বিষয়ে ১৮টি চিঠি পাঠিয়েছে, কিন্তু কমিশন সেগুলোর সম্মোহনে সহযোগিতা করছে না। তিনি কমিশনের প্রধান জ্ঞানেশ কুমারকে সরাসরি লক্ষ্য করে বলেছেন— 'গণতন্ত্রের হত্যাকারীদের সুরক্ষা দিচ্ছেন'। 6
বিশ্লেষণ: কি বুঝি এই বিতর্ক থেকে?
এই ঘটনায় তিনটি স্তরের প্রশ্ন উঠে— (১) প্রযুক্তিগত দিক: ভোটার তালিকা ব্যবস্থাপনায় কীভাবে নিরাপত্তা ও যাচাইকরণ কাজ করে, (২) প্রশাসনিক স্বচ্ছতা: নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য-তদন্ত সংস্থার মধ্যে তথ্য ভাগাভাগি কেমন, এবং (৩) রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: বিরোধী দল ও শাসকদলের মধ্যে কিভাবে এই অভিযোগ রাজনৈতিক দেখা-শোনায় রূপ নেয়।
বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে যদি সত্যিই সফটওয়্যার-ভিত্তিক বা কল-সেন্টার-চালিত আবেদন করে ভুয়োভাবে ভোটার মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়ে থাকে, তবে এটি নির্বাচন ব্যবস্থার একটি গভীর প্রযুক্তিগত দুর্বলতা প্রকাশ করে— যা তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন না করলে ভবিষ্যৎ নির্বাচন বিশৃঙ্খলতাকে আমন্ত্রণ করবে। তবে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই বলেছে যে অনলাইনে সরাসরি কোন ব্যক্তি কাকে সরাতে পারে না— এবং ECI ২০২৩-এই আসন্ন 'ব্যর্থ' কৌশলের জন্য এফআইআর করেছে বলে জানায়। 7
পরবর্তী করণীয়— অভিযুক্তদের খোঁজে স্বচ্ছ তদন্ত
রাহুলের ডাক— কমিশন যদি স্বচ্ছ হয় তবে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্নাটক সিআইডিকে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন এবং আইনিভাবে অভিযুক্তদের অনুসন্ধান হবে। এখন দেখার বিষয়— কমিশন কি সিআইডির কাছে সেসব লক-ফাইল, লগ-ফাইল ও আইপি-ট্রেইসিং সুনির্দিষ্টভাবে দেবে কি না। সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তিগত ল্যাজিস্টিক তথ্য ছাড়া কেবল রাজনৈতিক দাবি-প্রতিদাবির মধ্যেই এই ঘটনা আটকে থাকলে গণতন্ত্রে আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 8
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন