বিশ্বকর্মা পুজো ছুটিকে কেন্দ্র করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখায় বিতর্ক
বিশ্বকর্মা পুজো ছুটিকে কেন্দ্র করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখায় বিতর্ক
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি: বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চলছে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর
👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
রাজ্য সরকারের ছুটির ঘোষণা
রাজ্য সরকার সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে ১৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যে সরকারি ছুটি থাকবে। এই ছুটি প্রাথমিক স্কুল, মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সরকারের লক্ষ্য ছিল উৎসবের দিন শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য বিশ্রামের সুযোগ তৈরি করা। তবে সেই সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা পথে হাঁটায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি সরকারি ছুটি অনুমোদন করছেন না। তাঁর মতে, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার স্বার্থ এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার গুরুত্ব বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে। তিনি বলেছেন, “আমরা চাই না যে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনও বিলম্ব বা বিভ্রান্তি তৈরি হোক। শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে, তাই কাউন্সেলিং নির্ধারিত সময়েই হবে।”
ভর্তি কাউন্সেলিং নির্ধারণ করায় অসন্তোষ
বিশ্ববিদ্যালয় শুধু খোলা রাখার সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং একই দিনে স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় দফার ভর্তি কাউন্সেলিংও নির্ধারণ করেছে। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ছুটির দিন কাউন্সেলিং হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হতে সমস্যায় পড়বেন। বিশেষ করে যারা দূরবর্তী অঞ্চলে থাকেন, তাঁদের জন্য এটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে বিভিন্ন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, উৎসবের দিন কাউন্সেলিং নির্ধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অযথা চাপ তৈরি করবে। অন্যদিকে কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বলছেন, ভর্তি প্রক্রিয়ায় সময় নষ্ট না করতে এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। তবে বিতর্ক থামছে না। সামাজিক মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তি
- ভর্তি প্রক্রিয়ার নির্ধারিত সময়সূচী অনুসরণ করতে হবে।
- ছুটি শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি ব্যাহত করতে পারে।
- শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি।
- পরীক্ষা এবং ভর্তি সংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজ স্থগিত করা যাবে না।
সমালোচনার মুখে প্রশাসন
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের সমালোচকরা বলছেন, উৎসবের দিন ছুটি না মানা শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকা থেকে আগত শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের অসুবিধায় পড়বেন। ছুটি ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাব এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি সংবেদনশীলতার অভাবের পরিচায়ক বলে তাঁরা মনে করছেন।
রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্থক্য
রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল ও কলেজ সরকারি ছুটি মেনে চলবে বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত শিক্ষাক্ষেত্রে এক ধরনের ব্যতিক্রম হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কি এককভাবে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে পারে? শিক্ষাক্ষেত্রে সমন্বিত নীতির অভাবের কারণে ভবিষ্যতে আরও জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষাবিদরা।
সমাধানের পথ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভর্তি প্রক্রিয়া ও উৎসবের ছুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচীর বাইরে অতিরিক্ত কাউন্সেলিংয়ের দিন রাখতে পারেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন প্রক্রিয়া বা বিশেষ পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করাও সমাধানের পথ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সহানুভূতিশীল নীতি গ্রহণ করা জরুরি বলে মত দিচ্ছেন তাঁরা।
আগামী দিনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ
রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে সমাধান খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি। শিক্ষার্থী সংগঠনগুলো আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।
আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া এবং প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আপডেট জানানো হবে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর
👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন