বেলেঘাটার আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে ঘেরাও, ভিসি পদত্যাগের দাবি তোলল ছাত্রছাত্রীরা
বেলেঘাটার আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে ঘেরাও, ভিসি পদত্যাগের দাবি তোলল ছাত্রছাত্রীরা

রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের ছেলের পিএইচডি-র ভর্তিতে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে বেলেঘাটার আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ তুলে ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যকে পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। ছাত্রছাত্রীরা তাদের সামনে সরাসরি এই দাবিটি জানান।
সকাল থেকেই উত্তেজনা
শনিবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। জেনারেল কাউন্সেলিং মিটিং চলাকালীন ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সভায় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উপস্থিতির সামনেই আন্দোলন শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
ছাত্রছাত্রীর দাবিসমূহ
অভিযোগ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগও রয়েছে, যা ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই কারণেই ছাত্রছাত্রীরা একবাক্যে দাবি তুলেছেন যে, অবিলম্বে উপাচার্য পদত্যাগ করবেন। তারা স্লোগান দিতে দিতে উপাচার্যকে ঘেরাও করেছেন। হাতে তারা বিভিন্ন পোস্টারও বহন করছিলেন, যেমন “এই ভিসিকে মানি না, মানব না” এবং মোবাইল স্ক্রিনে বড় অক্ষরে “Remove VC” লিখে তা দেখানো হয়।
মিডিয়ার সামনে চুপচাপ
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি। তবে তাদের অবস্থান স্পষ্ট—ভিসি পদে থাকা একেবারেই মেনে নেবেন না। ছাত্রছাত্রীরা তাদের দাবিতে দৃঢ়। তারা বলেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখতে এই আন্দোলন অপরিহার্য।
উপাচার্য ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। উপাচার্য সম্পর্কিত অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে কোনো ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি।
আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা
ছাত্রছাত্রীরা আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে ঘেরাও করেছেন। তবে তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থায় বিক্ষোভ চালিয়েছেন। আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য উপাচার্যের পদত্যাগ নিশ্চিত করা। প্রশাসনিক ও বিচারিক উপস্থিতি আন্দোলনকে সংযত রেখেছে।
ভবিষ্যত পদক্ষেপ
ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, যদি উপাচার্য পদত্যাগ না করেন, তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে প্রস্তুত। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই চাইল্ড প্রোটেকশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মাবলী অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে।
সমাজে প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় জগতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার ওপর নজর রেখেছেন। সমাজের বিভিন্ন স্তরে এই আন্দোলন নিয়ে বিতর্ক চলছে। অনেকে শিক্ষার্থীদের সাহসিকতাকে সমর্থন করেছেন, আবার অনেকে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া বিক্ষোভ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন