বঙ্গ বিজেপি প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে পুজো যোগাযোগের মাধ্যমে তৃণমূলকে চাপে ফেলার পরিকল্পনা

বঙ্গ বিজেপি প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে পুজো যোগাযোগের মাধ্যমে তৃণমূলকে চাপে ফেলার পরিকল্পনা

বঙ্গ বিজেপি প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে পুজো যোগাযোগের মাধ্যমে তৃণমূলকে চাপে ফেলার পরিকল্পনা

Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিজেপি প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে পুজো যোগাযোগ
বিজেপি নেতারা প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন Durga Puja-এর আগে।

যে অস্ত্রে তৃণমূল বারবার বিজেপিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে, সেই একই অস্ত্র এবার বিজেপি শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে যাচ্ছে। ‘বাংলা ভাষার অপমান’ ও ‘বাংলার বাইরে বাঙালিদের হেনস্থা’—এই দুটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বারবার বিজেপিকে আক্রমণ করেছে। প্রকাশ্য মঞ্চে এই অভিযোগ উড়ানো হলেও, ভিতরে ভিতরে বিজেপি পাল্টা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।

প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে যোগাযোগ

বিজেপি প্রবাসী বাঙালিদের কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে চাইছে। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বাঙালি পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন। এই কর্মসূচিতে রাজ্য বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতা—বর্তমান সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার—অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শমীক গুজরাতে এবং সুকান্ত বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় এই সফরে যাচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও পরিকল্পনা

দুষ্যন্তকুমার গৌতম এবং তরুণ চুঘ—দুটি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক—পুরো কর্মসূচির দেখভাল করছেন। প্রতিটি রাজ্যে স্থানীয় নেতাদের একটি করে দল তৈরি করা হয়েছে, যারা বাংলার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় পুজো কমিটিগুলির যোগাযোগ স্থাপন করছে। এই কর্মসূচির আওতায় মুম্বই, পুণে, নাসিক, সুরাত, জয়পুর, দিল্লি, দেহরাদূন, হরিদ্বার, লখনউ, বারাণসী, রাঁচি, পটনা, ভুবনেশ্বর, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, তিরুঅনন্তপুরম, কোচি, বেঙ্গালুরু, পঞ্জিম, মারগাঁও সহ একাধিক শহরে সফর করা হবে। চণ্ডীগড় ও আন্দামান নিকোবরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রাক্তন সভাপতির মন্তব্য

রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিংহ জানান, ‘কোথাও কোনো বাঙালি হেনস্থা নেই। তৃণমূলের সাজানো গল্প কেউ বিশ্বাস করে না। আমাদের কর্মসূচির সঙ্গে এগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। আমরা যাচ্ছি তাদের কাছে যারা হয়তো সেই রাজ্যের ভোটার নন, কিন্তু আত্মীয়-পরিচিতরা এখানে থাকেন। আমরা দেখাব কতটা উন্নতি হয়েছে এবং কেন এই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে সরানো প্রয়োজন।’

রাজনীতিতে প্রভাব

এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপি প্রবাসী বাঙালিদের মাধ্যমে রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে চাইছে। তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি তার কৌশল পরিবর্তন করছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই পদক্ষেপকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নিজস্ব প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বীকৃতি অভিষেক বন্দ্...

Search This Blog

Powered by Blogger.