রাঁচি SSC ছাত্র ISIS-এর জন্য বোমা তৈরি: ১৩ গ্রেফতার, জঙ্গি চক্র ধ্বংস
রাঁচি SSC ছাত্র ISIS-এর জন্য বোমা তৈরি, ১৩ গ্রেফতার
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি: রাঁচির ইসলামনগরে বোমা তৈরির তবরক লজে অভিযান চলাকালীন উদ্ধারকৃত সামগ্রী
অভিযানের প্রেক্ষাপট
রাঁচির ইসলামনগর এলাকার তবরক লজ ছিল একটি নির্জন ও অচেনা স্থান। বাইরে এটি ‘হোটেল’-এর মতো দেখালেও ভেতরে ছিল অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে এবং জরাজীর্ণ। ছোট ছোট ঘর ভাড়া দেওয়া হতো। এই স্থানটি ব্যবহার করে SSC পরীক্ষার্থী আজহার দানিশ ISIS জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্য বোমা তৈরি করছিল।
দিল্লি পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, গত সপ্তাহে আফতাব কুরেশিকে গ্রেফতার করে জেরা করা হয়। আফতাবের তথ্যের ভিত্তিতে আজহার দানিশ এবং আরও ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এটি ধ্বংস করেছে একটি বোমা তৈরির জঙ্গি চক্র যা নতুন সদস্যদের দলে টানছিল এবং নির্দিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের টার্গেট করার পরিকল্পনা করছিল।
বোমা তৈরির কৌশল ও সামগ্রী
গ্রেফতার হওয়া চক্রের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে:
- গান পাউডার
- পটাশিয়াম নাইট্রেট (সল্টপিটার)
- দেশি তৈরি অস্ত্র
- অ্যাসিটোন পারঅক্সাইড
- PETN (পেন্টাএরিথ্রিটল টেট্রানাইট্রেট)
পটাশিয়াম নাইট্রেট বা সল্টপিটার একটি রাসায়নিক যা সার তৈরিতে ব্যবহার হয় এবং বোমার উপাদান হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। PETN এবং অ্যাসিটোন পারঅক্সাইড দিয়ে ‘মাদার অফ সাটান’ নামের শক্তিশালী বোমা তৈরি করা হত। উদ্ধারকৃত সব সামগ্রী বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
চক্রের সংগঠন ও অনলাইন প্ররোচনা
আজহার পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলারের মাধ্যমে অন্যান্যদের দলে টানতেন। তিনি ‘সিগন্যাল’ অ্যাপে গ্রুপ তৈরি করতেন, যেমন ‘ইন্টার্ন ইন্টারভিউ’ বা ‘বিজনেস আইডিয়া’, যাতে সন্দেহ না হয়। গ্রুপের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হতো এবং বোমা তৈরির উপকরণ অনলাইনে কেনা হতো।
গ্রেফতার হওয়া অন্যান্য সদস্য
- সুফিয়ান খান
- মোহাম্মদ হুজাইফ ইয়ামান
- কামরান কামরান কুরেশি
তারা ধর্মীয় স্থানে হামলার পরিকল্পনা করছিল। অভিযান শেষে সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তদন্তে পাওয়া তথ্য
সূত্র জানিয়েছে, আজহার ২০২৪ সাল থেকে তবরক লজে অবস্থান করছিল। তিনি পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে নতুনদের দলে টেনে নিতেন। জঙ্গি চক্রের কার্যক্রম ও সরঞ্জামগুলো নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা হতো সুবর্ণরেখা নদীতে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পরবর্তী পদক্ষেপ
পুলিশ এবং সন্ত্রাস দমন শাখা পুরো এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে। বোমা ও রাসায়নিক পদার্থের বিশ্লেষণ চলছে। মূল হোতাদের সনাক্তকরণের জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে।
অভিযান থেকে শিক্ষা
এই ঘটনা দেশের সাইবার ও ভূ-নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা প্রদান করেছে। বিশেষ করে অনলাইন প্ররোচনা এবং দূরবর্তী হ্যান্ডলারের মাধ্যমে জঙ্গি দলে নতুন সদস্য টানার কৌশলগুলোতে নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন