রাহুল গান্ধীর পর এবার তেজস্বী যাদবের সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদির মা হীরাবেনকে গালিগালাজের অভিযোগ"

বিহার ভোটের আগে, রাহুল গান্ধীর পর এবার তেজস্বী যাদবের সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদির মা হীরাবেনকে গালিগালাজের অভিযোগ"

বিহার ভোটের আগে ফের শিরোনামে তেজস্বী যাদব, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেনকে নিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজের অভিযোগ

বিহার নির্বাচনে রাজনৈতিক তরজা

ছবি: প্রতীকী, বিহারের নির্বাচনী রাজনীতি ঘিরে উত্তাপ

Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো: বিহার নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক তরজা ততই বাড়ছে। এবার ফের সামনে এল বিতর্কিত একটি ঘটনা, যার কেন্দ্রে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রয়াত মা হীরাবেন মোদি। অভিযোগ উঠেছে, তেজস্বী যাদবের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর মা-কে নিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করা হয়েছে এবং সেই সময় তেজস্বী নাকি উৎসাহ দিয়েছেন। বিজেপি এই ঘটনাকে বড় রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করতে শুরু করেছে।


অভিযোগের সূত্রপাত

বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী তাঁর এক্স (X) হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আরজেডি কর্মীরা তেজস্বী যাদবের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রয়াত মা হীরাবেনকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় মন্তব্য করছেন। সম্রাট চৌধুরীর দাবি, তেজস্বী এই দৃশ্য দেখে প্রতিবাদ না করে উল্টে হাততালি দিয়ে কর্মীদের উৎসাহ দিয়েছেন।

এই অভিযোগের পরই বিজেপি নেতৃত্ব তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই মন্তব্য করেন, “তেজস্বী কালিয়ানাগের মতো বিষ ছড়াচ্ছেন। কংসের যেমন পরিণতি হয়েছিল, ওঁরও তাই হবে। বিহারের মানুষ ভোটের মাধ্যমেই জবাব দেবে।”


আগের ঘটনাও সামনে আনছে বিজেপি

এটি প্রথম নয়। এর আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রা চলাকালীনও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। তখনও অভিযোগ করা হয়েছিল, সভাস্থলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা-কে নিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ হয়েছে। যদিও সেবার নেতৃত্বস্থানীয় কোনও নেতা উপস্থিত ছিলেন না। বিজেপি বিষয়টিকে ভোটের ইস্যুতে পরিণত করে বিহারে বনধের ডাক দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেও মন্তব্য করেছিলেন, “আমার মা-কে যারা গালি দিয়েছে তাঁদের আমি ক্ষমা করলেও বিহার ক্ষমা করবে না।”

বিজেপি মনে করছে, এবার যেহেতু তেজস্বীর উপস্থিতিতেই ঘটনাটি ঘটেছে, তাই রাজনৈতিকভাবে এর প্রভাব আরও গভীর হবে।


আরজেডির পাল্টা দাবি

বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরজেডি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, ভিডিওটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হচ্ছে। যারা প্রধানমন্ত্রীর মা-কে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেছে, তারা আরজেডির কর্মী নয়। বরং বিজেপি ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা সাজিয়েছে।

আরজেডির দাবি, জনগণ আসল ইস্যু থেকে মনোযোগ সরাতে বিজেপি ব্যক্তিগত আক্রমণকে সামনে আনছে। বিহারের বেকারত্ব, কৃষক সমস্যা, মূল্যবৃদ্ধি—এই বাস্তব সমস্যাগুলির পরিবর্তে বিজেপি আবেগকে কাজে লাগাতে চাইছে।


রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া

  • বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরী ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, “তেজস্বী নৈতিকতা হারিয়েছেন। মায়ের নামে গালাগাল শুনেও উৎসাহ দিচ্ছেন।”
  • অন্যদিকে জেডিইউ (জন্মতা দল ইউনাইটেড) নেতারাও বিষয়টিকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন।
  • তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিষয়টিকে বিজেপির ‘রাজনৈতিক নাটক’ বলেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিহারের ভোটযুদ্ধে এই ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। বিশেষ করে হিন্দি হৃদয়ভূমিতে মাতৃত্ব নিয়ে আবেগ প্রবল। তাই বিজেপি এই আবেগকেই কাজে লাগাতে চাইবে।


বিহার ভোটে সম্ভাব্য প্রভাব

বিহারের ভোটযুদ্ধ সবসময়ই জাতপাত, উন্নয়ন, এবং আবেগকে কেন্দ্র করে লড়াই হয়। নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেনকে নিয়ে মন্তব্যের এই বিতর্ক নিঃসন্দেহে বিজেপিকে রাজনৈতিক সুবিধা দিতে পারে।

তবে আরজেডি বিশ্বাস করছে, মানুষ বাস্তব সমস্যার ভিত্তিতেই ভোট দেবে। তাদের বক্তব্য, বিজেপি সবসময় আবেগ দিয়ে ভোট চাইতে চায়, কিন্তু জনগণ আর প্রতারিত হবে না।

এদিকে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, এই ঘটনার পর বিজেপি কি আবারও বনধের ডাক দেবে? নাকি প্রধানমন্ত্রীর জনসভাগুলিতে বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে?


📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত শহরের শীর্ষে দিল্লি — IQAir রিপোর্ট ২০২৫ ...

Search This Blog

Powered by Blogger.