তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী: নির্বাচনী প্রস্তুতি তুঙ্গে, বিজেপি ও সাড়া
তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী: নির্বাচনী প্রস্তুতি তুঙ্গে, বিজেপি ও সাড়া
Y বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর পরেই তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যজুড়ে তার বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে। রবিবার থেকে বিভিন্ন ব্লকে জনসংযোগ ও নির্বাচনী প্রস্তুতি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। মোট ৫০ জন নির্বাচিত নেতা-নেত্রী এই সম্মিলনীতে অংশগ্রহণ করবেন, যারা নেতৃত্বের নির্দেশে ব্লক স্তরের কর্মীদের সঙ্গে ভোট প্রস্তুতি ও জনসমর্থন সংগ্রহের কাজ করবেন।

তৃণমূলের নতুন জনসংযোগ কৌশল
বিজয়া সম্মিলনী কোনো নতুন উদ্যোগ নয়। বিগত কয়েক বছর ধরে তৃণমূল পুজোর পর নতুন জনসংযোগ পদ্ধতি অবলম্বন করছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প এবং স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠানের জন্য ৫০ জন বক্তা বাছাই করেছেন। তালিকায় সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক, ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতৃত্বরা রয়েছেন।
রাজ্য ও জাতীয় ইস্যু
তৃণমূলের লক্ষ্য কেবল নির্বাচনী প্রস্তুতি নয়। বাংলা ভাষার অপমান এবং রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার ঘটনার মতো বিষয়গুলোকে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও SIR ইস্যুতে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা হবে। এই সম্মিলনীতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্পও তুলে ধরা হবে যাতে সাধারণ মানুষ সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন হয়।
বিজেপি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া
তবে তৃণমূলের এই উদ্যোগে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব ও সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবকে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য সভাপতিত্বে বৈঠক হয়। বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য নেতা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, “এঁরা মূলত বিজেপিকে নকল করার চেষ্টা করছে। তবে এতে জনসংযোগ হবে না।”
জনসংযোগ ও নির্বাচনী প্রস্তুতির গুরুত্ব
২৬ তারিখে বড় একটি নির্বাচনী পরীক্ষা সামনে। আরজি কর পর্বের পরে নতুন জনআন্দোলন সংগঠিত না হলেও, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা তৃণমূলের জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। জনসমর্থন আদায়ের জন্য যে কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে, তার সূচনা এই বিজয়া সম্মিলনী থেকেই। রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ৫ তারিখ থেকে অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারী নেতারা ব্লক স্তরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবেন।
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে এই ধরনের জনসংযোগ কর্মসূচি নতুন নয়। তবে পুজোর পরে বড় ধরনের সম্মিলনী আয়োজন করা এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরা তৃণমূলের জন্য একটি প্রমাণযোগ্য কৌশল। অন্যদিকে, বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করছে। দুই দলের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলকে আরও উত্তপ্ত করছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তৃণমূলের লক্ষ্য শুধুই নির্বাচনী জয় নয়, জনমত গঠন। তাই ভাষা, সংস্কৃতি ও রাজ্যের সুনাম রক্ষার মতো ইস্যুকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথাও মানুষকে জানানো হবে যাতে সরকার এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সংযোগ সুদৃঢ় হয়।
উপসংহার
পুজোর পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী এবং রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি কার্যক্রম রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। ৫০ জন নির্বাচিত নেতা-নেত্রীর মাধ্যমে ব্লক স্তরে কার্যক্রম তৃণমূলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে বিজেপিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করছে। ফলে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ আগামী নির্বাচনী সপ্তাহে আরও উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Y বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন