ইজরায়েলের গাজা আক্রমণ, ট্রাম্পের বারণ অগ্রাহ্য — নিহত ৬, ফের উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে
আরও খবর পড়ুন , ডিভিসি-এর অতিরিক্ত জলছাড়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ
এই সিদ্ধান্তের পরই ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে হামাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন — “গাজার মানুষকে শান্তি ফিরিয়ে দিতে হলে এখনই বোমা বর্ষণ বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি জীবন মূল্যবান।” কিন্তু সেই বার্তা অগ্রাহ্য করে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী ফের আক্রমণ চালায় গাজায়। ইজরায়েলের দাবি, হামাস এখনও সীমান্ত বরাবর অস্ত্র মজুত রাখছে এবং রকেট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই কারণেই ‘প্রতিরক্ষামূলক অভিযান’ চালানো হয়েছে। নেতানিয়াহু সরকারের অবস্থান স্পষ্ট ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন, “ইজরায়েল নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোনও দেশের অনুমতির অপেক্ষা করবে না।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু আমাদের নাগরিকদের উপর হামলা হলে প্রতিরোধই একমাত্র উত্তর।”আরও খবর পড়ুন , পাকিস্তান যদি মানচিত্রে থাকতে চায়, সন্ত্রাসে মদত বন্ধ করুন
এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, ওয়াশিংটনের বারণ ইজরায়েলকে আটকাতে পারেনি। মার্কিন প্রশাসনের এক অংশ যদিও ট্রাম্পের অবস্থানকে সমর্থন করছে, তবুও ইজরায়েলের এই হামলার পর হোয়াইট হাউস থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ভারতের অবস্থান
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিপূর্বেই ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। শুক্রবারের ঘটনার পর মোদী প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, “যুদ্ধ নয়, সংলাপই একমাত্র সমাধান।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প ও মোদীর এই অভিন্ন অবস্থান মার্কিন-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। অন্যদিকে, আরব লীগ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের দাবি, ইজরায়েল যদি শান্তি আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা আরও বাড়বে।
হামাসের কৃতজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ সংকেত
আক্রমণের আগে হামাস প্রকাশ্যে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করে। তারা জানায়, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রথমবারের মতো আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝেছেন।” পাশাপাশি, হামাস আরব দেশগুলোকেও কৃতজ্ঞতা জানায় শান্তির পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য।
তবে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইজরায়েলের নতুন আক্রমণ হামাসের আস্থা নষ্ট করতে পারে বলে আশঙ্কা। গাজার স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, নিহতদের মধ্যে দুই শিশু ও এক নারী রয়েছেন।
ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবের মূল পয়েন্ট
ট্রাম্পের প্রস্তাবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ছিল গাজায় নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠন। পরিকল্পনা অনুযায়ী,
১️⃣ গাজার উপর হামাসের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
২️⃣ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবে।
৩️⃣ পণবন্দি মুক্তি ও মানবিক সাহায্যের প্রবাহ বাড়ানো হবে।
৪️⃣ ইজরায়েল ও হামাস উভয়ের অস্ত্রবিরতি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হবে।
যদিও হামাস এই শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল, ইজরায়েলের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ সেই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বর্তমানে গাজা ও ইজরায়েল সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এখন নজর রয়েছে হোয়াইট হাউসের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। ট্রাম্প কি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেবেন, নাকি কূটনৈতিক আলোচনার পথে হাঁটবেন — সেটাই সময় বলবে।
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর
👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন