ডিভিসি-এর অতিরিক্ত জলছাড়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ
ডিভিসি-এর অতিরিক্ত জলছাড়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ
ডিজিটাল ডেস্ক: বিজয়া দশমীর আনন্দের মধ্যে ওরা আবারো দফায় দফায় জল ছেড়েছে ডিভিসি। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক নদীতে জলস্তর বেড়ে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সরাসরি তোপ দাগলেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “বিজয়া দশমী মানে দুর্গাপুজোর শেষ। আনন্দ, উল্লাস এবং নতুন আশার সময়। শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাবাসীকে উৎসব উদযাপন করতে দেয়নি ডিভিসি। কারণ, রাজ্যকে নোটিস না দিয়ে ৬৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে তারা। উৎসবের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্দশার পরিস্থিতি তৈরি করা ছাড়া আর কিছু নয়। এই ধরনের আচরণ লজ্জাজনক। এবং অবশ্যই অগ্রহণীয়। কাউকে না জানিয়ে জল ছাড়ার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে ডিভিসি। এটা কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়। এটা ডিভিসির দ্বারা তৈরি করা বিপর্যয়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি বাংলাকে বিসর্জন দিতে দেব না। বাংলাবিরোধী যেকোনও ষড়যন্ত্র সমস্ত শক্তি দিয়ে রুখে দাঁড়াব। সত্যের জয় হবে। অপশক্তির বিরুদ্ধে সত্যের জয় হবেই।”
নিম্নচাপের প্রভাব ও সতর্কতা
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়ে বর্তমানে দক্ষিণ ওড়িশার কাছে অবস্থান করছে নিম্নচাপ। ক্রমে এটি আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। আগামী দু’দিনে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
ডিভিসির নিয়ন্ত্রণ ও নদী পরিস্থিতি
ডিভিসি থেকে নিয়ন্ত্রিতভাবে জলছাড়া করা হলেও এতে দক্ষিণবঙ্গের বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদী সংলগ্ন গ্রাম ও শহরের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তবে ডিভিসির হঠাৎ জলছাড়া এবং নোটিশ না দেওয়ায় ক্ষোভ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের আচরণ শুধু ক্ষতি ঘটায়, কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া
মুখ্যমন্ত্রী মমতার পোস্টে রাজ্যবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন, “যদি আগে নোটিশ দেওয়া হতো, হয়তো এই বিপর্যয় এড়ানো যেত।” অন্যরা মন্তব্য করেছেন, “ডিভিসির এমন আচরণ বাংলার মানুষকে হতাশ করেছে।”
উৎসব এবং বিপর্যয়ের সমন্বয়
বিজয়া দশমীর আনন্দের মধ্যে এই জলছাড়া প্লাবিত এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুজো উদযাপনরত মানুষ বাধ্য হয়েছেন বাড়িতে বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে। স্থানীয় পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উদ্ধার এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
প্রশাসন বলেছে, ডিভিসির জলছাড়ের উপর নজর রাখার জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণ টিম তৈরি করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সতর্কতা ছাড়া এমন অতিরিক্ত জলছাড়া যাতে না হয়, তার জন্য নতুন প্রটোকল প্রণয়ন করা হচ্ছে। এছাড়া নদী তীরবর্তী এলাকায় অবিলম্বে সতর্কবার্তা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত তথ্য
- ডিভিসি মোট ৬৫,০০০ কিউসেক জল ছেড়েছে।
- মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ৩২,৫০০ কিউসেক হারে জল অব্যাহত।
- বৃষ্টির কারণে অজয় ও দামোদরের উপরের অংশে পানি বৃদ্ধি।
- নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী দু’দিনে আরও বৃষ্টি ও প্লাবনের সম্ভাবনা।
- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া বার্তা প্রদান।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন