অভিষেক-ঐশ্বর্য বচ্চনের ডিপফেক মামলা: গুগলের কাছে ৪ কোটি টাকা দাবি
অভিষেক-ঐশ্বর্য বচ্চনের ডিপফেক মামলা: গুগলের কাছে ৪ কোটি টাকা দাবি
নয়া দিল্লি: বর্তমান সময়ে গ্ল্যামার দুনিয়ার তারকাদের ডিপফেক-এর শিকার হওয়া প্রায় সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন ও তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনও এ বিষয় থেকে বঞ্চিত নন। তাঁদের ছবি ও ভিডিও অনাকাঙ্ক্ষিত কনটেন্টে ব্যবহার করা হচ্ছে, যার ফলে ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি এড়াতে সম্প্রতি তাঁরা দিল্লি হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই ব্যবহার করে তাঁদের মুখ-চেহারা ও কণ্ঠস্বর বিকৃত করে নানা ধরনের কনটেন্ট তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগের তালিকায় রয়েছে অনামী বা বেনামি ওয়েবসাইট, ইউটিউবের লিঙ্কসহ প্রায় ১৫০০ পৃষ্ঠা তথ্য।
অভিযোগ অনুযায়ী, বচ্চন দম্পতির ছবি ব্যবহার করে কফি মগ, টি-শার্টের মতো পণ্য তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এআই দ্বারা তৈরি করা বিকৃত ও অন্তরঙ্গ ছবি নেটপাড়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালতের কাছে জমা দেওয়া লিঙ্কগুলিতে কখনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে অভিষেক ও ঐশ্বর্যকে একসঙ্গে নৈশভোজ করতে দেখা যায়, আবার কখনও পরস্ত্রীর গালে চুমু বসানোর দৃশ্যও দেখা গেছে।
কোর্টের মতে, বিনা অনুমতিতে কোনও বিজ্ঞাপনী ছবি বা ভিডিওতে তারকাদের মুখ ব্যবহার করা হলে ক্রেতারাও বিভ্রান্তির শিকার হতে পারেন। এ ধরনের কৃত্রিম কনটেন্ট তৈরি করা হলে তারকাদের ব্যক্তি অধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাই আদালত বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরত্বের সঙ্গে দেখেছে।
অভিষেক-ঐশ্বর্যর পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন আইনজীবীরা। তাদের দাবি, গুগলের প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের কনটেন্ট প্রকাশের কারণে তাদের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কারণেই তারা গুগলের কাছে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন।
বলিউড সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এ ধরনের কনটেন্ট তৈরির প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের ডিপফেক কনটেন্টের বিস্তার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেকারণে আদালতের পদক্ষেপ এবং তারকাদের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন কেবল নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই নয়, বরং অন্য তারকাদেরও সতর্ক করার জন্য এই মামলা করেছেন। আদালতের রায়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রোধ করা অপরিহার্য।
সংক্ষেপে, এই মামলার মাধ্যমে বলা যায় যে, ডিজিটাল যুগে তারকাদের মান-মর্যাদা রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। আদালতের রায় ও আদালতের নির্দেশিত লিঙ্ক সরানোর পদক্ষেপ ভবিষ্যতে এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের সম্ভাবনা কমাবে।
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন